এ’ক রা’তে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমা’র স্ত্রি প্রতিদিনের মত আমাকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে বসলো।সে আমা’র কথায় কোনরকম বির’ক্ত প্র’কাশ না করে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করল, “কেন?” আমি তার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলাম। এতে সে রেগে গেলো।থেকে সবকিছু ছুড়ে ফে’লে দিয়ে চি’ৎকার করে বললো, “তুমি একটা কাপুরুষ।” সেই রাতে আমা’দের আর কথা হল না। সে সারা রাত নিঃশব্দে কাঁদলো।হয়তো ও বুঝার চেষ্টা করছিল কেন আমি এমনটা চাইলাম। কিন্তু আমি তাকে বলতে পারিনি যে, আমি আর একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফে’লে ছি।আমি নিজেকে খুব অ’প’রাধী মনে করেছিলাম, আর ঐ অ’প’রাধবোধ নিয়েই আমি ডিভোর্স লেটার লিখলাম, যেখানে উল্লেখ ছিল, আমা’দের বাড়ি, আমা’দের গাড়ি,অবশেষে সে আমা’র সামনে চি’ৎকার করে কা’ন্না করে দিল, যা আমি আশা করছিলাম। আমা’র কাছে তার কা’ন্না একরকম মুত্তির চিহ্নের মত লাগছিল।
ত’খন মনে হচ্ছিল, এবার আমি আ’সলেও সফল। পরের দিন, আমি অনেক দেরী করে বাসায় ফিরি। দরজায় ঢু’কতেই দেখি, ও ডাইনিং রুমে টেবিলে কিছুলিখছিল। আমি আর খাবার খেতে গেলাম না এবং সরাসরি ঘু’মাতে চলে গেলাম, কারণ সারাদিন ফারহানাকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি এবং এখন আমি ক্লান্ত। আমি ঘু’মিয়ে গেলাম। যখন আমা’র ঘু’ম ভা”ঙ্গলো, তখনো ও লিখছিল।আমি গ্রাহ্য করলাম না এবং আবার ঘু’মিয়ে পরলাম।
স’কালে সে আমাকে কিছু শর্ত দিল, যেখানে লেখা ছিল, “আমি তোমা’র থেকে কিছুই চাইনা, কিন্তু আ’লাদা হয়ে যাওয়ার আগে শুধু এক মাস সময় চাই। এই একমাসে আম’রা জতটুকু সম্ভব স্বা’ভাবিক জীবন জা’পন করবো, কারণ আর একমাস বাদেই আমা’দের ছেলেটার পরীক্ষা। ওর যাতে কোন ক্ষ’তি না হয় তাই আমি এমনটা চাইছি।”স’ম্পর্কের এই ছোট ছোট ব্যাপারগু’লো আ’সলেও অনেক গু’রুত্বপূর্ণ।
এ’ই বড় রাজপ্রাসাদ, গাড়ি, সম্পত্তি, টাকা এগু’লো সব কিছুই ভালো থাকার পরিবেশ তৈরি করে কিন্তু নিজে’রা কোন সুখ দিতে পারে না। তাই কিছু সময় বের করুন আপনার স্বামী বা স্ত্রির জন্য। তার ব’ন্ধু হন। এবং কিছু কিছু ছোট ছোট মু’হূর্ত তৈরি করুন যা আপনাদের স’ম্পর্ককে আরও কাছের করবে। কারণ, এটাই সত্য “পরিবার পৃথিবীতে সব চাইতে দামি।” আপনি যদি এখন কোন স’ম্পর্কতে নাও থাকেন, তারপরেও দ্বিতীয় বারের মত অথবা তার চাইতেও বেশী চিন্তা করুন, কারণ এখনো দেরী হয়ে যায় নি…
এ’খনো অনেক সময় আছে।আপনি যদি এই পোস্টটি না শেয়ার করেন, তাতে কোনই স’মস্যা নেই। কিন্তু যদি শেয়ার করেন, তাহলে হয়তো আপনি একটি স’ম্পর্ক আবার জোড়া লা’গাতে পারেন। জী’বনে অনেক মানুষই বুঝতে পারে না যে, তারা সফলতার কত কাছাকাছি আছে। যদি ভালো লাগে তাহলে আরো ভাল ভাল গল্প পড়তে আমা’দের সাথে থাকুন।