নভেল ক’রোনাভা’ইরাসেে মৃ’ত্যুর আ’তঙ্ক জেঁকে বসা বিশ্বে স্বস্তির খবর মিলছে খুবই কম। চীনের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে দেশে লাখো মানুষের প্রা’ণ কেড়ে নেয়া এই ভাই’রাস শতাব্দির ভ’য়াবহ আ’তঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। প্রায় তিন লাখ মানুষের প্রা’ণ কেড়ে নেয়া এই ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।সোমবার (১১ মে) এই সংখ্যা পেরিয়েছে ১৫ লাখ, স্বস্তি আপাতত এতটুকুই।প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃ’ত্যু এবং সং’ক্র’মণ। চীনে গত বছরের ডিসেম্বরে একেবারে নতুন এই ভাই’রাসটি মাত্র ৪ হাজার ৬৩৩ জনের প্রা’ণ কাড়লেও মৃ’ত্যুপুরীতে পরিণত করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশকে।ক’রোনাভা’ইরাসেের কারণে চা’পের মুখে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ও’পর অতিরিক্ত চা’প এড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ভাই’রাসটির লাগাম টানার কৌশল হিসেবে লকডাউন ও সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার মতো নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করতে বছরের পর বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ ভ্যাকসিন তৈরির পর তা মানবদেহে প্রয়োগ করে কার্যকরিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও নিরাপদ কিনা তা যাচাই করা হয়। এসব করতেই দীর্ঘদিন সময় লেগে যায়। আবার ক’রোনাভা’ইরাসে প্রতিনিয়ত রূপ বদলে ফেলায় তৈরিকৃত ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা সেটিও চিন্তায় ফেলছে বিজ্ঞানীদের।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। ফল যাচাইয়ের পর মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন। আর এই কাজও অনেক সময়সাপেক্ষ। তবে অন্তত দেড় থেকে দুই বছর কিংবা কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে একটি চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে।এইচআইভির ভ্যাকসিনের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, হয়তো ক’রোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম নাও হতে পারেন বিজ্ঞানীরা।