উপ’কূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূ’র্ণিঝড় ‘আম্ফান’। এরই মধ্যে উপকূলীয় জেলায় শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি।
তাই বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান
।ঘূ’র্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় মঙ্গলবার সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী।
মধ্যেই ঘূ’র্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আসছে বাংলাদেশের দিকে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি এখন ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার। তাই এটিকে
সুপার সা’ইক্লোন বলা হচ্ছে। আমরা উপকূলসহ ঝুঁ’কিপূর্ণ অবস্থায় যারা আছেন তাদের আ’শ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজটি করছি।
আজ রাত ৮টার মধ্যেই সবাইকে আ’শ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে।’প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানান, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূ’র্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে। স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় তাদের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে। আর নৌবাহিনী উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনার জন্য সহযোগিতা করছে এবং সকল বড় জাহাজগুলো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ক’রোনা ভা’ইরাসের জন্য
সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য মাঠে কাজ করছে, তারাও ঝুঁ’কিতে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সহায়তা করবেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান আরও জানান, মোট ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জনকে রাখা যাবে। কিন্তু ক’রোঃনা ভাই’রাসের কারণে ২০ থেকে
২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। আর আশ্রয়কেন্দ্রে আনাদের মধ্যে ১ মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগে ঘূ’র্ণিঝড় ফণীতে ১৮ লাখ এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রকেন্দ্রে আনা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।