ব্রিটেনের ব্ল্যাকবার্নে গু’লি করে এক মুসলিম তরুণীকে (১৯) হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আপন তিন ভাই রয়েছে।গত রবিবার বিকালে ওই তরুণীকে একটি গাড়ি থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পু’লিশ বলছে, এ’টি ছিল দুর্বৃত্তদের ভুল টার্গেট।সোমবার পুলিশ আপন তিন ভাই ফিরোজ (৩৯) সুহাইল (৩৬) ও নাঈম সুলেমানকে (৩৩) গ্রেফতার করে।এছাড়া, একজন অপরাধীকে সহায়তা করার অভিযোগে বুধবার ১৯ ও ২৬ বছর বয়সী দু’জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।একই অভিযোগ ৩১ ও ৩৫ বছর বয়সী আরও দু’জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজন অপরাধীকে সহায়তা করার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী একজনকে গ্রেফতার করা হয়।সব মিলিয়ে এই তরুণী হত্যায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হল।গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন, বন্দুকধারীর লক্ষ্য ছিল কুইক শাইন কার ওয়াশ।
ঠি’ক এই স’ময় ওই তরুণী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ রি টায়ার্সের পরিচালক, যার ব্ল্যাকবার্নজুড়ে তিনটি গ্যারেজ রয়েছে।ল্যাংকাশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।ব্ল্যাকবার্ন এলাকায় শপিং সেন্টারের বাইরে রবিবার বেলা তিনটার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আয়া হাশেম (১৯) নামে ওই তরুণী নিহত হন।
লে’বানিজ বংশোদ্ভূত ওই তরুণী স্থানীয় সালফোর্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের আইনের ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় লিডল সুপার মার্কেটের বাইরে একটি গাড়ি থেকে তাকে গুলি করা হয়। তিনি তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শপিংয়ে এসেছিলেন।পুলিশের ধারণা, ওয়েলিংটন রোডে যে গাড়ি থেকে তাকে গুলি করা হয়েছে তা একটি টয়োটা অ্যাভেনসিস গাড়ি।
গা’ড়িটি পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।আয়া হাশেম চিলড্রেনস সোসাইটির একজন তরুণ ট্রাস্টি ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মার্ক রাসেল বলেন, সে ছিল সত্যিকার অর্থেই তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক কণ্ঠ।
ব্ল্যা’কবার্ন ও ডারউইন অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা দ্য অ্যাসাইলাম অ্যান্ড রিফিউজি কমিউনিটি বলেছে, সে কাণ্ডজ্ঞানহীন হত্যাকাণ্ডের শিকার। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, একটি গুলিতে তার মৃত্যু হয়।