গ্রা’মের বা’ড়িতে মে’য়ের লা’শ দাফন হবে না এজন্য এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিলেন মে’য়ের মৃ’তদেহ দাফনের।চুক্তির টাকাও পরিশোধ করেছিলেন হতভাগ্য বাবা। কিন্তু সেই মৃ’তদেহ ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক দাফন না করে ফেলে দেয় মহিপুর সংলগ্ন তিস্তা নদীতে।দুইদিন পর সেই মৃ’তদেহ তিস্তার পানিতে ভাসতে দেখে পু’লিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে আদিতমা’রী থা’না পু’লিশ মৃ’তদেহ উ’দ্ধার করে।
প’রিচয় শ’নাক্ত হবার পর সেই হতভাগ্য বাবার কাছে পুনরায় লা’শ দাফনের দায়িত্ব এসে কাঁধে চাপে। কিন্তু ঘটনা জানতে পেরে এবার পু’লিশেই দায়িত্ব তুলে নেয় লা’শ দাফনের।ম’র্মা’ন্তিক, হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট জে’লার পাটগ্রাম উপজে’লায়। হতভাগ্য বাবার নাম গো’লাম মোস্তফা। মে’য়ে মৌসুমী আক্তার (২২) কাজ করতেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়।
মৃ’ত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তার পাটগ্রাম উপজে’লার বুড়িমা’রী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের গো’লাম মোস্তফার মে’য়ে। তিনি একই উপজে’লার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী’।পথিমধ্যে রংপুরের তাজহাট এলাকায় পৌছলে ট্রাকচালক তাকে মৃ’ত দেখে ম’রদেহ ফেলে পালিয়ে যান। অজ্ঞত ম’রদেহ হিসেবে তাজহাট থা’না পু’লিশ উ’দ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ম’র্গে পাঠায়। পরদিন শুক্রবার খবর পেয়ে মৃ’তের বাবা গো’লাম মোস্তফা তাজহাট থা’নায় গিয়ে মে’য়ের ম’রদেহ শনাক্ত করেন।
মে’য়ের ম’রদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমা’রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিশাতকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করে নিজ এলাকায় দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই ম’রদেহসহ পুরো বাড়ি এবং ম’রদেহবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হু’মকী’ দেন বলে অ’ভিযোগ মৃ’তের বাবা গো’লাম মোস্তফার।অবশেষে নিরুপায় হয়ে গরীব বাবা মে’য়ের ম’রদেহ দাফন করতে তাজহাট এলাকার একজন লা’শবাহী গাড়ি চালককে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
তা’রা ম’রদেহ দাফনের আশ্বা’স দিয়ে বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে ম’রদেহটি তিস্তা নদীতে ফেলে দেন।মৃ’ত মৌসুমীর বাবা গো’লাম মোস্তফা বলেন, হাতে পায়ে ধরতে চেয়েও লা’শ গ্রামে নিতে দেয়নি আবু সাঈদ নিশাত চেয়ারম্যান। বাধ্য হয়ে একজন চালককে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি দাফন করতে। তারাও দাফন না করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। অবশেষে আবারো মে’য়ের ম’রদেহ সনাক্ত করতে হলো আদিতমা’রী থা’নায়। পু’লিশের পাহারায় মে’য়ের ম’রদেহ দাফন করি। মে’য়ের ম’রদেহ নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।বুড়িমা’রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিশাতের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।আদিতমা’রী থা’না ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) সাইফুল ইস’লাম বলেন, ঘটনাটি অ’ত্যান্ত দুঃখজনক। সরকারি ব্যাগে মোড়ানো ম’র্গের ম’রদেহ উ’দ্ধারের ঘটনায় ইউডি মা’মলা করা হয়েছে।
মৃ’ত্যের পরিচয় জানার পরে মে’য়ের বাবার আকুতি শুনে পু’লিশ সুপারের নির্দেশে দুই থা’না পু’লিশের যৌথ উদ্যোগে ম’রদেহ তার গ্রামে দাফন করা হয়েছে। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।