ইউরোপে মু’সলিম নারীদের জন্য বোরকা নিষি’দ্ধের জনক ফ্রান্স।দেশটিতে আ’ইন করে গত প্রায় এক দশক ধ’রে জনসম্মুখে বোরকা পরা অর্থাৎ মুখ ঢাকা নিষি’দ্ধ।অথচ মহামা’রী করো’না ভা’ই’রাস সেই চিত্র একেবারেই পাল্টে দিয়েছে। এখন দেশটিতে মাস্ক ছাড়াকিংবা মুখ না ঢেকে বাইরে বের হলেই শা’স্তির মু’খোমুখি হতে হচ্ছে। মুখ না ঢেকে চলাফেরা করলে১৫০-১৬৫ ইউরো পর্যন্ত জ’রিমানার বিধান করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বোরকা পরা নিষি’দ্ধই থাকছে।ওয়াশিংটন পোস্টের প্র’তিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রন গত সপ্তাহে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে ফরাসী পতাকার নীল,সাদা এবং লাল ফিতে দিয়ে সজ্জিত একটি নেভির মুখোশ পরেছিলেন।
সে’টির ন’কশাটি দেখে অনেকেই মনে করছেন তারা স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের আদর্শগুলোর উপর জো’র দিয়েছেন।প্র’তিবেদনে আরো বলা হয়, স’ম্প্রতি বিএফএম টিভির এক জ’রিপে দেখা গেছে যে, ফ্রান্সের ৯৯ শতাংশ মানুষ মুখোশ পরাকে সম’র্থন ক’রেছেন।দেশটিতে মুখ ঢাকা বা’ধ্যতামূলক করা হলেও বোরকা পরায় নি’ষেধাজ্ঞা উঠছে না।ওয়াশিংটন পোস্ট’কে ফ্রান্সের স্ব’রা’ষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জা’নিয়েছে, কভিড -১৯ ম’হামা’রি চলাকালীন সময়েও বোরকা নি’ষেধাজ্ঞা কা’র্যকর থাকবে।তবে করো’না মাহামা’রির কারণে লোকদের মুখ ঢেকে চলতে হবে।
এ স’ময় মুখ না ঢাকা থাকলে অন্যদের সংক্র’মিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে এমন মুখোশ দিয়ে মুখ ডাকতে হবে যেটা ধ’র্মীয় প্রতিনিধিত্ব করে না। এই আ’ইন ল’ঙ্ঘন করলে ১৫০-১৬৫ ইউরো পর্যন্ত জ’রিমানা করা হবে।ধ’র্মীয় নিরপেক্ষ’তার কথা বলে ২০০৪ সালে সব স’রকারী বিদ্যালয়ে হিজাব নিষি’দ্ধ করে ফ্রান্স। ২০১০ সালে যে কোন পাপলিক প্লেসে পুরোপুরি মুখ ঢেকে বোরকা ও নিকাব নিষি’দ্ধ করেছিল। ওই সময় যু’ক্তি দেখানো হয়েছিল, এই পোশাকগুলো জনগণের সুর’ক্ষার জন্য হু’মকিস্বরূপ এবং সমান নাগরিক অধিকারের একটি সমাজে’র এটা প্রতিনিধিত্ব করে না।
স’ম্প্রতি ফ্রান্সের বিখ্যাত ‘প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহ’- এ মডেলরা মুখোশ পরেই অংশগ্রহণ করেন। মডেলদের পরিহিত মুখোশগুলো দে’খতে অনেকটাই মু’সলিম নারীদের হিজাবের মতোই ছিল। শুধু ফ্রান্সেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশে করো’না ভা’ই’রাস ছ’ড়িয়ে পড়ায় নারী মডেল থেকে শুরু করে সবাই মুখোশ পরছেন। নি’রাপত্তার বি’ষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখেই তারা এ মুখোশ পরছেন।
করো’না ভা’ই’রাসে সবচেয়ে ক্ষ’তিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি ফ্রান্স। দেশটিতে ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো মানুষ করো’না ভা’ই’রাসে আক্রা’ন্ত হয়েছেন। মৃ’ত্যু হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার করো’না রোগীর।