করো’নাভাইরাস সং’ক্রমণ রো’ধে লকডাউনে ঘরব’ন্দি মানুষ। বন্ধ সব অফিস-আ’দালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ—সবই ব’ন্ধ। আয় হারিয়ে খা’বি খাচ্ছে মানুষ। করো’নার এই মহামা’রির সময়ে বেশির ভাগ ভাড়াটিয়ার কোনো আয়-রোজগার নেই। অনেককে ত্রাণের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। এ অবস্থায় বাড়িভাড়া প’রিশোধ করা তাঁদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
অ’ন্যদিকে এমন অনেক বাড়িওয়ালা আছেন যাঁদের আয়ের একমাত্র উৎস বাড়িভাড়া। অনেক বাড়িওয়ালার কাঁধে আছে বাড়ি নির্মাণের সময় নেওয়া ঋ’ণের বো’ঝা।পুরান ঢাকার জে এন সাহা সড়কের ৭/২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন মামুনুর রশিদ। গত মাসের ভাড়া দিতে পারেননি। বাড়ির মালিক ভাড়ার জন্য চা’পাচা’পি করছেন।
ভা’ড়াটিয়ার স্ত্রী’ মুক্তা বলেন, ‘আম’রা বাড়ির মালিককে অনুরোধ করে বলেছি, গত মাসের বেতন পাইনি ভাড়া দেব কিভাবে?’ মালিক বলেছেন, এই ভাড়ার টাকায় আমা’র সংসার চলে। তাই ভাড়া দিতেই হবে। নইলে বাসা ছেড়ে দিন।’মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের কালশী সড়কের বাড়ির মালিক ইউসুফ হোসেন তুহিন বলেন, ‘ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়ির মালিকই বাড়িভাড়ার টাকায় তাঁদের সংসার চালান। আবার বাড়ি নির্মাণকালে নেওয়া ঋ’ণের কিস্তিও পরিশোধ করতে হয়। তার পরও আম’রা মা’নবিক কারণে বাড়িভাড়া মওকুফ বা অর্ধেক নিতে রাজি আছি।
সে ক্ষে’ত্রে সরকার ব্যাংকঋ’ণের কিস্তি, ইউটিলিটি বিল ও সিটি করপোরেশনের পাওনাদির বিষয়ে সহানুভূতিশীল হলে বাড়িওয়ালাদের পক্ষেও মানবিক হওয়া সহ’জ হবে।’মিরপুর সেনপাড়া এলাকার বাড়ির মালিক সাইফুল ইস’লাম বলেন, ‘চাকরি জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি করেছি। বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসার চলে।
ভা’ড়া না পেলে আমি চলব কিভাবে।ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইস’লাম বলেন, ‘বাড়িভাড়া মওকুফের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি খুবই জটিল ও গভীর। ভাড়াটিয়ারা ক’ঠিন সমস্যায় রয়েছে। আবার অনেক বাড়িওয়ালাকেও চলতে হয় বাড়িভাড়ার টাকায়। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।-কালের কণ্ঠ