বি’নোদন ডেস্ক-টানা কয়েক বছর থেকেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। মৃতপ্রায় ইন্ডাস্ট্রি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এরই মাঝে নতুন করে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস।
এর’ফলে লোকসানের পাল্লাটা ভারী হচ্ছে হলমালিকদের। গেল ১৮ মার্চ থেকে দেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ। এমতাবস্থায় কর্মীরা দিশেহারা।এদিকে করোনাভাইরাসে কারণে সবকিছু সরকার বন্ধ ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে সীমিত আকারে রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেয়।
অ’নুমতি পাওয়ার পর রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে আসছে। অন্যদিকে হল বন্ধ থাকার কারণে আয় না থাকায় অনেক হলের কর্মচারীরা মানবতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে বিক্রি করছেন ইফতার সামগ্রী।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ জেলায় অবস্থিত হীরক সিনেমা হলের কর্মচারী ছিলেন শাহীন মিয়া। হীরক সিনেমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর খুব কষ্টেই কাটছে তার দিন। এ অবস্থায় জীবিকার তাগিদে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন তিনি।
তি’নি জানান, গেল কয়েক বছর থেকে হলের ব্যবসা হয় না। তাছাড়া একের পর এক হল বন্ধ হওয়ায় আমরা বেশ বিপাকে। অন্য কোনো কাজ না শেখায় এই পেশা ছাড়তে পারছি না।
অ’নেক কষ্টেই আছি। তাই ইফতার বিক্রি করে কিছু আয়ের চেষ্টা করছি।শুধু হীরক কিংবা জোনাকী নয় দেশের অধিকাংশ সিনেমা হলে পুরো রমজান মাসে এভাবেই লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে কর্মচারীরা ইফতার বিক্রি করতেন। কিন্তু এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে চিত্রটা ভিন্ন হয়েছে। তারপরেও কিছু কিছু হলের কর্মচারীরা ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে যাচ্ছেন।