‘ঘ’র পো’ড়ার মধ্যে আলু পো’ড়া’। এই কথাটিই যেন ফলেছে ভা’রতের মধ্য প্রদেশের এক ব্যক্তির ভাগ্যে। করো’নাভাই’রাসের সং’ক্র’মণ পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউনের হাজারো বা’ধা ডিঙিয়ে বেচারা দিল্লি থেকে রাজ্যের ছাতারপুর জে’লার মুন্দেরি গ্রামের বাড়ি ফিরেছিলেন।
প্র’শাসনিক নি’র্দেশনায় তাকে যেতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। আর এই কো’য়ারেন্টাইনের সুযোগ নিয়েই ওই ব্যক্তির স্ত্রী’ পা’লিয়ে গেছেন পর’কী’য়া প্রে’মিকের হাত ধরে।এ ঘটনায় ৫০ বছর বয়সী ওই পরিযায়ী শ্র’মিক (এক রাজ্য থেকে গিয়ে আরেক রা’জ্যে কাজ করা) নিকটস্থ থা’নায় অ’ভিযোগ করেছেন। অ’ভিযোগের পর তিন স’ন্তানের মা সেই নারীকে (৪৬) খুঁজছে পু’লিশ।
স্থা’নীয় সং’বাদমাধ্যম জানায়, ওই ব্যক্তি দিল্লির একটি এলাকায় কাজ করতেন। কর্মস্থলের পাশেই বাসা নিয়ে থাকছিলেন তিনি। ওই বাসায়ই তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী’ ও স’ন্তানরা।কিন্তু দেড় বছর আগে তিনি স্ত্রী’-স’ন্তানদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মা’র্চে ভা’রতজুড়ে করো’নাভাই’রাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্র’মিকের মতো আ’ট’কা পড়েন ওই ব্যক্তিও।
শে’ষে স’রকার পরিযায়ী শ্র’মিকদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্র’মিক স্পেশাল’ ট্রেন চালু করলে তাতে গ্রামের বাড়ি ফেরেন তিন স’ন্তানের এই জনক। ১৯ মে বাড়ি ফেরার পরই তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।নিজের বাড়ির একটি কক্ষে থাকছিলেন তিনি।
আ’রেকটি কক্ষে থাকছিলেন তার স্ত্রী’ ও স’ন্তানরা। ২৪ মে ওই ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন তার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। নানা কায়দা করে কক্ষ থেকে বেরিয়ে স্ত্রী’-স’ন্তানদের খোঁজ করতে থাকেন। স’ন্তানদের পেলেও স্ত্রী’র খোঁজ মিলছিল না। কিছু বলতে পারছিলেন না তার স’ন্তানরাও।নিজের মুখে গামছা বেঁ’ধে ওই ব্যক্তি আশপাশের সব বাড়িতে খোঁজ নিতে থাকেন।
মো’বাইল ফোনে খোঁজ নিতে থাকেন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছেও। কিন্তু পরে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তার অনুপস্থিতিতে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী’ পর’কী’য়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই প্রে’মিকের হাত ধরেই এই দুঃসময়ে পগার পার হয়েছেন তিনি।