বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচা’প শক্তিশালী হয়ে নিম্নচা’পে পরিণত হয়েছে। এটি খুব দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আজ-কালের মধ্যে আ’ঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিম্নচা’পটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১৪’শ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা এ নিম্নচা’প ক্রমেই আরো ঘনীভূত হচ্ছে। আবহওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুর জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আ’শঙ্কা তো আছেই। এটি নির্ভর করে নিম্নচা’পটির গতি-প্রকৃতির ও’পরে। তবে শনিবার এবং রোববারের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি আ’ঘাত হানতে পারে।’
তিনি জানান, নিম্নচা’পের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সব সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ‘এই নিম্নচা’পের গতি ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ঘূর্ণিঝড়টি আজ এবং কাল সকালের মধ্যে শক্তিশালী হওয়ার আ’শঙ্কা রয়েছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচা’পটি ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচা’পে পরিণত হয়েছে। নিম্নচা’পটি শনিবার সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪০ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০১ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
নিম্নচা’পের কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃ’দ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচা’পের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।