পেশায় রিকশাচালক ও ছয় স’ন্তানের জনক শামছুল হক শামছু (৬৫) ফের বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম মরিয়ম আক্তার। পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। গত ১০ মে তাদের বিয়ে হয়।
অসম বয়সের এ বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার লালমাই উপজে’লার পেরুলে। নানা শামছুল হক শামছু লালমাই উপজে’লার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের পেরুল গ্রামের দীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা।
আর ওই ছাত্রীর বাড়ি একই উপজে’লার পশ্চিম পেরুল গ্রামে। সে পেরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বর শামছুল হকের ছোট মেয়েও তার সঙ্গে পড়ে।
অসম এই বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন কনে মরিয়ম আক্তার।তিনি সাবলীলভাবেই স্বীকার করেছেন বিয়ের কথা। বলেছেন পছন্দ করে-ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, গত ১০ মে শামছুল হক শামছু ওই ছাত্রীকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ও ১ লাখ টাকা উসুল দিয়ে বিয়ে করেন।
ছাত্রীর বাবা ঢাকায় চাকরির সুবাদে তাদের পরিবার দেখাশোনা করার অসিলায় আসা-যাওয়া করতেন রিকশাচালক শামছু। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই স্কুলে যাওয়া আসার সময় সে শামছুল হকের রিকশায় যাতায়াত করতো। এ সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘বি’ষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় ১১ মে বর-কনেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে লোক মারফত নিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান। বর শামছুল হককে জি’জ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ও ১ লাখ টাকা উসুলে তাকে আমি বিয়ে করি। এ সময় শামছুল হক বিয়ের কাবিননামা ও কনের জন্মসনদ দেখিয়েছে।’শামসুল হকের দুই মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আর কনে চার ভাইবোনের মাঝে দ্বিতীয়। তার বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। ছোট দুই ভাই রয়েছে। বিয়ে প্রসঙ্গে মেয়ের চাচা মোবারক হোসেন মফু বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। অবুঝ মেয়েটাকে ফুসলিয়ে সে এ কাজটা করেছে।’
মেয়ের বাবা বলেন, ‘শামসু আমার বাড়ির কাজ করতো। আমি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। আমার পরিবারে বিভিন্ন কাজ সে করে দিতো। তাকে আমি খুব বিশ্বাস করতাম।
সে আমার মেয়েকে প্ররোচনা দিয়ে বিয়ে করে। সে একজন রিকশাচালক। তার ঘরে স্ত্রী-স’ন্তান রয়েছে। এই বয়স্ক একটা লোকের সঙ্গে আমার মেয়ে কিভাবে সংসার করবে?’এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা সঠিক। মেয়ের চাচা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।’