ডেঙ্গু’র পা’শাপাশি পোকাবাহিত এক রোগ বিভীষিকা হয়ে উঠেছে। রোগের নাম স্ক্র্যাব টাইফাস। অ’ন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে বিপদ। বিপন্ন করছে জীবন। তাই জ্বর হলেই গো’পনাঙ্গ পরীক্ষার পরাম’র্শ দিলেন চিকিৎসকরা।
ভা’রতীয় এ’কসংবাদমাধ্যমের ত’থ্যানুসারে, দক্ষিণ ভা’রতে এরইমধ্যে সরকারিভাবে এ রোগে আ’ক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃ’ত্যু হয়েছে।বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা অনেক বেশি। কারণ, ‘অজানা জ্বর’এ যে মৃ’ত্যুর খবর মিলছে, তার সিংহভাগ এই স্ক্র্যা’বটাইফাসের কামড়েই ঘটছে।
সেখানকার পা’র্ক সা’র্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতা’লে চলতি সময়েই ১৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার মধ্যে কিছু ‘কমন’ উপসর্গ দেখা গেছে। প্রবল জ্বর, গায়ে ব্যথা এবং গোপনাঙ্গে সি’গারেটেরফোসকার ম’তো দাগ।
এমনটাই জা’নিয়েছেন, ওই হাসপাতা’লের শি’শু বিশেষজ্ঞ ডা. নিশান্তদেব ঘট’ক। নিশান্তদেব একাধিক স্ক্র্যা’ব টাইফাস আ’ক্রান্ত শি’শুকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তুলেছেন। তিনিও মেনে নিলেন, শহরের মানুষেরএই পোকাবাহিত রোগে আ’ক্রান্ত হওয়াটা বেশ দুশ্চিন্তার।
কারণ, স্ক্র্যা’ব টা’ইফাসের জন্য দায়ী ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট’ মূলত ধানখেত ও ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে। ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল ও গবাদি পশুর শরীরে সাধারণত বাসা বাঁধে। এদেরকোনো সমস্যা হয় না।কিন্তু মানুষের শরীরে দংশন করলেই বিপদ। প্রবল জ্বর আসবে। যেখানে দংশন করছে পোকা, সেখানে ফোসকা পড়ে যাবে।
দং’শনের ১০ থেকে ১৪ দি’নের মা’থায় জ্বর দেখা যায়। সময়মতো চিকিৎসা না হলেমাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃ’ত্যুর মুখে পড়তে পারে রোগী। যদিও এই রোগের সঙ্গে সেভাবে গ্রামবাংলার পরিচয় নেই।
মে’ডিসিন বি’শেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বা’স জানান, অনেকেই স্ক্র্যাব টাইফাসে আ’ক্রান্ত হওয়াটাকে টাইফয়েড ভেবেভুল করছেন। অনেক সময় ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। র’ক্তপরীক্ষায় কিছু ধ’রাও পড়ছে না। ফলে, সমস্যা হচ্ছে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেও লিভা’র ও প্লীহা বড় হয়ে যায়। তখন র’ক্ত পরীক্ষা করালে নিশ্চিত হওয়া যায়।এই পোকার উপরতেমন গবেষণা হয়নি।
প’তঙ্গবিদরা স’বাই মশা নিয়ে ব্যস্ত। দেখা যাচ্ছে, কুঁচকি, বগল ও কোম’রের ভাঁজেই এই পোকা বেশি করে কামড়ায়। শরীরের একেবারে গো’পন জায়গায় কামড়ায় বলে অনেক সময়ই দেরিতে ধ’রা পড়ে। জ্বর এলেতাই দ্রুত গোপনা’ঙ্গ ও তার আশপাশ পরীক্ষা করার পরাম’র্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
পা’শাপাশি জা’নিয়েছেন, বাড়িতে ইঁদুর থাকলে সাবধান হতে হবে। রাস্তার কুকুর বা বিড়ালের সংস্প’র্শেও সাবধানে থাকতে হবে। বাড়িতে বাগান বা ঝোপঝাড় থাকলেও সতর্কতা দরকার।