ক’রোনাভা’ইরাসেের সং’ক্র’মণের প্রভাবে আগামী শিক্ষাবর্ষে নতুন কা’রিকুলামের (শিক্ষাক্রম) বই দেওয়া হচ্ছে না।
গ’তকাল মঙ্গলবার এ ত’থ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চে’য়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা।গতকাল ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী প্র’তিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিটিবির চে’য়ারম্যান বলেন, ক’রোনাভা’ইরাসেের সং’ক্র’মণ পরিস্থিতিতে শি’ক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গি’য়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাক্রম তৈরির কাজটি করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া এখন শি’ক্ষাক্রমের ভিত্তিতে পাণ্ডুলিপি তৈরি করে ছাপানোও কঠিন হবে।
সার্বিক দিক বিববেচনায় তারা আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে বই না দেওয়ার প্রস্তাব করলে সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আগামী বছরও বিদ্যমান শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ব’ই পাবে শিক্ষার্থী।তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষক নির্দেশিকা দেওয়া হবে জানান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
যাদের শি’ক্ষার্থীদের ন’তুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন।স’রকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাক্রমের আ’লোকে ২০২১ সাল থেকে প্রাথমিক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল।
এরপর ২০২২ সা’লে প্রা’থমিকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সপ্তম, নবম ও একাদশ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল। আর ২০২৩ সালে প’ঞ্চম, অষ্টম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বই দেওয়ার কথা ছিল। এখন আর আগামী বছর নতুন শিক্ষাক্রমে বই দেওয়া হচ্ছে না।
প্র’স্তাবিত শি’ক্ষাক্রম অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তর (দশম শ্রেণি) পর্যন্ত সব শি’ক্ষার্থীকে একই ধরনের বি’ষয় পড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ বি’ষয়টি বা’স্তবায়ন হলে এখনকার মতো নবম শ্রেণি থেকে একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় শাখায় ভাগ করা হবে না। এই ভাগ হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে গিয়ে। তবে এটি হলেও ২০২৪ সাল থেকে চালু হতে পারে।