করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানালেন, তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। জ্বর নেই, কাশিও কমেছে। তবে শ্বাসকষ্ট কিছুটা আছে।
সোমবার (০১ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের শারীরিক এ অবস্থার কথা জানান গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. জাফরুল্লাহ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলে’ন, শ’রীর উন্নতির দিকে যাচ্ছে। শ্বা’সকষ্ট কিছুটা আছে। গ’ণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার স্ত্রী ও পুত্রও ক’রোনায় আক্রান্ত। তারা বাসায় আছে, আমি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আছি।
সকা’লে হা’লুয়া, রুটি ডিম, খেয়েছি।তিনি আরও বলেন, আ’মি সুস্থ হয়ে আ’বারও অসুস্থ হয়ে পড়বো। কার’ণ যেভাবে লোক ঠকানো হচ্ছে। একটা ইনজেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা। আমাকে বলছে আ’পনারতো টাকা লাগবে না ইনজেকশন নিতে। আমি বলছি, ভা’লোইতো বাটপারি শুরু করছো।
আমাকে বি’না প’য়সায় দেবা আর লোকজনের গলা কাটবা। জনগণ প্র’তারণার শিকার হবে।কোনো কোম্পানির ইনজেকশনের দাম দশ হাজার টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকগুলো কো’ম্পানি আছে। কয়টার আর নাম বলবো।
এক লা’খ টা’কা দিয়ে চি’কিৎসা করানো কার পক্ষে সম্ভব। ডা. জাফরুল্লাহ কি এক লাখ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারবে? আমি যদি এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাইতে পারি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দ’মন ক’মিশনের (দুদক) অ’নুসন্ধান করা উচিৎ, এত টাকা কোথায় পাইলাম।
আমি যদি ওই চি’কিৎসা গ্র’হণ করি, তাহলে আমার নামে দুদকের অ’নুসন্ধান করা উচিৎ। প্রতারণার একটা সী’মা থাকা উচিৎ।তাহলে কি করা উচিৎ এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওই ওষুধতো দেখছি সোনার চেয়েও বেশি দাম।
সরকার যদি ও’ষুধের মূ’ল্য স্থির না করে, তাহলে যখন কো’নো ও’ষুধের নাম বলা হবে, তখনই তার দামও বলতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে ওষুধের দাম। তাহলে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠবে কেনো এত টাকা দাম? এটা না করলে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাবে। বেঁচে থেকে তখন লাভ কি, টাকার অভাবে আমি যদি খা’ইতেই না পা’রি, আমার ছেলে-মেয়ে খাবার না পায়। ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে যাই।
হা’সপাতালে কি লা’গে চি’কিৎসা দিতে, অ’ক্সিজেন লাগে। অক্সিজেনের দাম কত? এসব বিষয়ে গণমাধ্যম এবং জ’নসাধারণকে প্রশ্ন করা দরকার।ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার স্পষ্ট কথা, যে ও’ষুধ সাধারণ করোনা রোগীরা কিনতে পারবে না, সেই ওষুধ দিয়ে আমি চিকিৎসা করব না।
তার মা’নে ১৯৮২ সা’লের নীতিমালা অনুযায়ী, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটি মোতাবেক ওষুধের মূল্য সরকার ঠিক করে না দিলে, ত’তক্ষণ পর্যন্ত ওই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে দেশবাসীর ক্ষতি করব না। যে ওষুধ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে নেই, সেই ওষুধ আমাকে বিনা পয়সায় দিলেও চিকিৎসা করাব না।’