মা’জহারুল ইসলাম : [২] বিশ্ব জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে কো’ভিড-১৯ (ক’রোনাভা’ইরাসে)। শরীরের ভিতর এই ভাই’রাসের কিভাবে আক্রমন চা’লায়, তা বো’ঝার আগে এ ভাই’রাস কিভাবে শরীরে প্রবেশ করে তা জানা দরকার।
আ’নন্দবাজার৩] ন্যা’শভিল-এর ভ্যান্ডারবিল্ট বি’শ্ববিদ্যালয় মে’ডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক রো’গ বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম শ্যাফনারের মতে, রো’গাক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির ড্র’পলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রো’গীর কাছাকাছি থাকা সু’স্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে এটি শরীরে প্রবেশ করে।
শ’রীরে ঢু’কেই এ ভাই’রাসের অণুগুলো দ্রুত নাসাপথের পিছন দিকে বা গ’লার ভিতরের দিকে মিউকাস মেমব্রেনের ভিতরের কোষে হা’না দেয়।
আ’র ত’খন সেই কোষই হয় গ্রাহক বা রিসেপ্টর কোষ।৪] এই ভাই’রাসের দেহতল থেকে আসা বা স্পাইকের আকারে অবস্থান করা প্রোটিন কণাগুলো কোষের আস্তরণকে আঁকড়ে ধরে ভাই’রাসের জিনগত উপাদানকে সুস্থ মানুষের দেহকোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
ভাই’রাসের এই জি’নগত উপাদানগু’লি কোষের বিপাক ক্ষমতার ও’পর একপ্রকার দ’খল নিয়ে কোষকে নির্দেশ দেয় ‘ভু’লভাল’ কাজ করার জন্য।এর মানে, কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে দিয়ে সেই ভাই’রাসের বৃ’দ্ধি ও বেড়ে ওঠায় সাহায্য করতে কোষকে বা’ধ্য করে।
য’খন এ’টি ফু’সফুসে পৌঁছায়, তখনই মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ তৈরি হয়।১] মানুষ আ’তঙ্কগ্রস্ত হয়ে অনেক সময় অমানুষেও পরিণত হয়: প্রধানমন্ত্রী ≣ ধর্মবা’দীরা কেন দেশপ্রেমিক হতে পারে না? ≣ ভালোবেসে বিয়ে, ২ ঘণ্টার ব্যবধানে চলে গেলেন স্বামী-স্ত্রী
[৫] কো’ষ য’খন বা’ধ্য হয়ে ভাই’রাসের বৃ’দ্ধি ও ফুলেফেঁপে ওঠার কাজে মন দেয়, তখন বেড়ে যাওয়া ভাই’রাস অণুগু’লি ফে’টে গিয়ে গ্রাহক কোষের চারপাশে থাকা অন্যান্য কোষগু’লিকেও আ’ক্রমণ করে।৬] উপসর্গ হিসেবে গ’লাব্যথা ও শুকনো কাশি শুরু হয়।
এ’রপর দ্র’æত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে বাড়তে সেই ভাই’রাস যখন ফুসফুসে পৌঁছায়, তখন প্রদাহ তৈরি হয়। এটি অ্যালভিওলাই ও ফুসফুসের থলিগু’লির ক্ষ’তি করে। তখন এদের পক্ষে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা ও কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করার কাজটাও খুব কঠিন হয়ে পড়ে।