প্রধানমন্ত্রী শে’খ হাসিনা দে’শের প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ই’উনিট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
সভা শে’ষে প’রিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মা’সের বেশি সময়ের সাধারণ ছুটি শেষে মঙ্গলবার সকালে বসে একনেকের বৈঠক। ভিডিও ক’নফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
এটাই ভি’ডিও ক’নফারেন্সের মাধ্যমে একনেকের প্রথম সভা।এসময় স্বা’স্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চা’লিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মা’নুষ যেন খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সেজন্যই স্বা’ভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।স’ভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্র’ত্যেক জে’লা সদর হাসপাতালে অবশ্যই একটা করে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী ব’লেছেন, প্র’ত্যেকটা হাসপাতালে আইসিইউ ই’উনিট স্থাপন, প্রত্যেকটি হাসপাতালে যেন ভেনটিলেটর স্থাপন, যথেষ্ট পরিমাণ উচ্চমাত্রার পর্যাপ্ত অ’ক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা যেন আরও বৃদ্ধি করা হয়’।
এ জন্য প্র’য়োজনীয় যন্ত্র’পাতি কেনার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।বৈঠকে কোভিড-১৯ মো’কাবেলায় বি’শ্ব ব্যাংক ও এডিবির অর্থায়নে দুটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
অ’নুমোদন পা’ওয়া দুই প্রকল্পের একটি হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স (এডিবি-জিওবি)’ প্রকল্প।মান্নান বলেন, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যত মহামারীর জন্য পি’সিআরসহ আধুনিক মাইক্রো-বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির স্থাপন করা হবে।
রোগীর চি’কিৎসা ব্য’বস্থাপনা ও হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট নি’শ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়ো’জনীয় জনবল নিয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়।
প্রকল্পটির মা’ধ্যমে স্বা’স্থ্য খাতের তিন হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হবে।বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ ইমা’র্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পটির আওতায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স’ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
জে’লা হা’সপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা ব্য’বস্থাপনা সু’যোগ বাড়ানোও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এছাড়াও এ প্র’কল্পটির মা’ধ্যমে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংক্রমক রোগ বিভাগ, জেলা পর্যায়ে এক্সপান্ডেড প্রো’গ্রাম ফর ইম্যুনাইজেশন (ইপিআই) ই’উনিট এবং সব সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি হাসাপাতালে ইনফেকশন প্রিভেনশন ইউনিট স্থাপন করা হবে।