মাসখা’নেক আগেও চিত্রটা আলাদা ছিল।রেলষ্টস্টেশনে গাওয়া এক ভাইরাল গানের হাত ধরে রাতারাতি বলিউডের প্লেব্যাক গায়িকাতে পরিনত হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু ম’ণ্ডল! কিছুদিন আগেও প্লেনে বড় গাড়িতে করে যাতায়াত,বাড়ীর সামনে ক্যা’মেরার ভিড়ের
মাঝে ধরা দিতেন যিনি আজ তিনি কেমন আছেন?রানাাঘ্ট স্টেশন থেকে রানু মণ্ড’লের উত্থান। সেখান থেকে বাংলার সীমা ছাড়িয়ে রানু পৌঁছে যান স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে। এক রিয়্যালিটি শো’য়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ডাক পান বলিউডে গান গাওয়ার জন্য।
খোদ হিমেশ রে’শমিয়া তাঁর গানে মু’গ্ধ। তারপর থেকে রুপোলি দুনিয়া হয়ে ওঠে তাঁর সংসার। রানাঘাটের এক সময়ের ভবঘুরে রানু গ’লা মেলান হিমেশ রেশমিয়া, উদিত নারায়ণের মতো শিল্পীর স’ঙ্গে। হি’মেশের স’ঙ্গে রেকর্ড করেন ‘তেরি মেরি কাহানি’।কিছুদিন আগেও খ্যাতির শীর্ষে থাকা রানু মণ্ডলকে এখন দুই একজন ছাড়া তো
কেউ খোঁ’জ নেয় না। একটি সংবাদমাধ্যমকে রাণু মণ্ডল জানিয়েছেন, কেরল থেকে ফিরে টানা পাঁচদিন তাঁকে না খেয়ে কা’টাতে হয়েছে। এখন প’রিস্থিতি আরও খা’রাপ।এলাকার লোক সদয় হলে চাল-ডাল জোটে। নাহলে পেটে কিল মে’রে দিন গু’জরান করেন তিনি। দুঃখ করে বলছিলেন, এখন আর কেউ তাঁর খোঁজ নেয় না। সেই
আগের দিনগুলো যেন ফিরে এসেছে। কি’ন্তু তাই বলে নিজের নে’শাকে হারিয়ে ফে’লেননি তিনি। আজও মাঝে’মধ্যেই নিজের মনে গেয়ে ওঠেন, ‘জিন্দেগি অর কুছ ভি নেহি, তেরি মেরি কাহানি হ্যায়।’লকডাউন-কোরোনা সং’ক্র’মণের ভিড়ে হারিয়ে যায় রানু প্রস’ঙ্গ । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খা’রাপ । এখন একপ্রকার অর্ধাহারে দিন কা’টাচ্ছেন তিনি । কখনও সবজি সি’দ্ধ, কখনও বা মুড়ি খেয়ে খিদে মেটাচ্ছেন ।