মোঃ ফরহাদ হোসেন চৌহালী প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাকে সরকার দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করলেও এর সুবিধা পাচ্ছেন না চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার সহ প্রায় একশত কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জেলার ১৬টি উপজেলাকে হাওর/দ্বীপ/চর দুর্গত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছেন এবং সবার জন্য গ্রেড অনুযায়ী ভাতা নির্ধারন করেছেন। এদের মধ্যে চৌহালী উপজেলা অন্যতম। উপজেলার ১৭ টি বিভাগের সবাই এই ভাতা ভোগ করে আসছেন অনেক দিন ধরেই। এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারী বিভাগও এই ভাতা পাচ্ছেন বলে জানা যায়।
কোন এক অজানা কারণে শুধুমাত্র স্বাস্হ্য সেবা বিভাগের ডাক্তার, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, সিএইচসিপি, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যাদের ছাড়া মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান একেবারেই অসম্ভব সেই সকল স্বাস্হ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক এখনও এই ভাতা পাচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর সূত্রে বলা হয় বার বার ভাতা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা সত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) বাজেট ঘাটতির কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার সকল বিভাগ এই ভাতা নিয়মিত পাচ্ছেন, তাদের বাজেট ঘাটতি নেই শুধু যারা জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের বেলা বাজেট ঘাটতি বিষয়টি কোন ভাবেই সমর্থন ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে পরিচালক (অর্থ) এর চর ভাতার বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব আছে বলেই প্রতীয়মাণ হয়। বিষয়টি ক্রমেই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি করছে যার বহিঃপ্রকাশ যেকোন সময়ই ঘটতে পারে।
চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল কাদের বলেন, যাদের ছাড়া মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা অসম্ভব তারাই এই দুর্গম ভাতা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি বার বার বিষয়টি মৌখিক ও লিখিত আকারে সিভিল সার্জন সহ পরিচালক (অর্থ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কে জানিয়েছি কিন্তু কোন এক অজানা কারণে এর কোন সমাধান হয়নি।
সবশেষে আমরা মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর লিখিত আবেদন করেছি বিষয়টির একটা সুষ্ঠু সমাধান করবার জন্য এবং আমরা সেই লিখিত চিঠির কপি সচিব, জনপ্রশাসন ও সংস্হাপন মন্ত্রণালয়, সচিব,অর্থ মন্ত্রণালয়, সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।এখন দেখা যাক বিষয়টির সমাধান কিভাবে হয়।
বিষয়টি যেহেতু অপ্রাপ্তির ও অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় কে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।