কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার এক বন্দি বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে হামলা করে আব্দুল হাই নামে এক বন্দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আঘাত করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গির নামে আরও এক বন্দি আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে কারাগারের সেল ভবনের ১১ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদরের শিমুলহাটি গ্রামের ইসরাইল মিয়ার পুত্র। অন্যদিকে হামলাকারী মো. সাইদু মিয়া তাড়াইল উপজেলার মাইজহাটি গ্রামের বাসিন্দা। আহত বন্দি জাহাঙ্গিরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৩টা পর্যন্ত বন্দি আব্দুল হাই ও মোঃ সাইদু মিয়াসহ আরও দুই একজন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকে।
ভোর রাতে আব্দুল হাই যখন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক সে সময় সাইদু মিয়া বাথরুমের দরজার কাঠ ভেঙ্গে ওই কাঠ দিয়েই আব্দুল হাইয়ের মাথায় আঘাত করে।
এ সময় জাহাঙ্গির নামে আরেক বন্দি সাইদুর আঘাতে আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে ডাক্তার আব্দুল হাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ১১ নম্বর সেলে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার পাঁচ জন বন্দি রয়েছে। তারা সবাই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। এ ঘটনায় আইজি প্রিজন ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসউদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেল সুপার মোঃ বজলুর রশিদ জানান, ঘটনার পর জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ কারাগার পরিদর্শন করেন।