টাকা দিল দেড় লক্ষাধিক, পেল না সেচ সংযোগ। এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল খায়ের ও এলাকা পরিচালক শওকত হাসানের বিরুদ্ধে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগটি দাখিল করেছেন নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটি গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে কৃষক আঃ হাই। তবে অফিস বলছে এমন কিছু ঘটেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাই নান্দাইল সেচ কমিটির ছাড়পত্রসহ নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে সেচের লাইন সংযোগের জন্য আবেদন করেন। আবেদন অনুমোদিত হলে সেচের লাইন সংযোগ বাবদ এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং সেচের অগ্রিম জামানত বাবদ ২ হাজার ৪ শত টাকা জমা দেন। আব্দুল হাই বিধি মোতাবেক টাকা জমা দেয়ার পর তার সেচ লাইন নির্মাণ না করে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনে প্রতিবেশী মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে খোকন মিয়ার লাইন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও এলাকা পরিচালকের নিজস্ব লোক দিয়ে রাতের আধারে নির্মাণ করে দেন। অবৈধভাবে খোকন মিয়ার লাইন নির্মাণের বিষয়টি নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বরাবর জানালে তিনি খোকনের সেচের লাইন বিচ্ছিন্ন করান। কিন্তু জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও এলাকা পরিচালক শওকত হাসান এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের কৃষক আব্দুল হাই কিভাবে লাইন সংযোগ দেন সে ব্যাপারে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন।
অভিযুক্ত এলাকা পরিচালক শওকত হাসান বলেন, বিএডিসি’র ছাড়পত্র দিছে এখানে পল্লী বিদ্যুতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা দুজন ( আঃ হাই ও খোকন) আমার মাধ্যমে এই কাজটি করে নাই।
একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তার মাধ্যমে কেন কাজটি করাতে হবে সেটাই জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
অভিযুক্ত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আমার উপর যে অভিযোগটি করেছে তা তাদের ঠিক হয়নি। আমার তিনজন সার্কেল এসপি আছে, আমি ওদের ছাড়ব না।
ডিজিএম বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আব্দুল হাই অভিযোগ দেওয়ার ফলে উপজেলা সেচ কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত হলে সেচ কমিটি লাইন কেটে দিতে বলে এবং আমরা লাইন কেটে দেই। তারপর আবার খোকন কে বা কার মাধ্যমে লাইন লাগিয়ে নেন পরে আবার কাটতে যাই এবং মালামাল আনতে যাই কিন্তু আমাদেরকে খোকনের লোকেরা লাইন কাটতে এবং মালামাল আনতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, যে অপরাধী তার শান্তি হউক তা আমিও চাই।
উল্লেখ্য, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে থাকা কালীন সময়েও ঘুষ নেয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।