কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় কর্মরত করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে করোনা ডেডিকেটেড
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে রবিবার (৩ মে) সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেল সাত পুলিশ কনস্টেবল। তারা হলেন, কং/ আব্দুস সামাদ (৪৫), কং/ দুলাল কবির (৩৫), কং/ জামাল উদ্দিন (৩৫) কং/ তানজিল আহমেদ (২৪), কং/ আমিনুল ইসলাম (২৮),কং/ আঃ রহিম (৩০) ও নারী কং/সোনিয়া আক্তার (২৬)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভৈরব থানায় কর্মরত পুলিশ কং/মোঃ আব্দুস সামাদ (৪৫), কং/ দুলাল কবির (৩৫), কং/ জামাল উদ্দিন (৩৫)
হঠাৎ হালকা কাশি অনুভব করলে গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভৈরব,কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক চিকিৎসা পর তাহার নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ এর মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয়।
গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) নমুনা রিপোর্ট প্রাপ্ত হইলে উক্ত পুলিশ কন্সটেবলদ্বয় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস
পজিটিভ হওয়ায় কং/ মোঃ আব্দুস সামাদকে উন্নত চিকিৎসার (আইসোলেশন) জন্য শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিশেষ এ্যাম্বুলেন্সযোগে
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ প্রেরণ করা হয়। এবং কং/ দুলাল কবির (৩৫),
কং/ জামাল উদ্দিন (৩৫) কে ট্রমা সেন্টারের অধীনে তাদের নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন (আইসোলেশন) রাখা হয়।
আরো চারজন ভৈরব থানার পুলিশ কং/তানজিল আহম্মেদ (২৪),কং/আমিনুল ইসলাম, (২৮)
কং/আঃ রহিম (৩০) ও নারী কং/সোনিয়া আক্তার (২৬),হঠাৎ সর্দি, জ্বর অনুভব করলে গত শনিবার
(১৮ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল
সার্জন, কিশোরগঞ্জ এর মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেন।
গত রবিবার (১৯ এপ্রিল) নমুনা রিপোর্ট প্রাপ্ত হইলে উক্ত কং’গণ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় নারী কং/সোনিয়া
আক্তার’কে ট্রমা সেন্টারের অধীনে তার নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন (আইসোলেশন) রাখা হয়। এবং কং/তানজিল, কং/আমিনুল ও কং/আঃ রহিম’দেরকে ট্রমা সেন্টারের অধীনে শহীদ আইভি রহমান স্টেডিয়াম, ভৈরব, কিশোরগঞ্জে আইসোলেশনে রাখা হয়।
উক্ত কং’গণ নিজ নিজ বাসায় ও শহীদ আইভি রহমান স্টেডিয়ামে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়
গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় ও গত বুধবার (২৯ এপ্রিল)তৃতীয় বার পুনরায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করলে পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অদ্য রবিবার (৩ এপ্রিল) অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকার সময় ছাড়পত্র প্রদান করেন। উক্ত হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শক্রমে উল্লিখিত সকল কং’দেরকে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে ০৭(সাত) দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়।
চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দ্বিতীয় ও গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) তৃতীয় বার পুনরায় কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রবিবার (৩ এপ্রিল) অনুমান ১২.৫০ ঘটিকার সময় ছাড়পত্র প্রদান করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং উক্ত হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শক্রমে কং/আঃ সামাদ (৪৫) কে তার নিজ বাড়ীতে চৌদ্দ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য পাঠানো হয়।