নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশিং এন্ড ইন্টিলিজেন্স ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার (১০ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ ভিত্তিক একটি অনলাইন পোর্টালে “কিশোরগঞ্জে ইন্সপেক্টরের হাতে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র লাঞ্চিত” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয় দুপুর ৩টার দিকে সদর সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় চত্বরে সাদা পোশাকে বৌলাই ইউনিয়নের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের পুত্র রফিকুল ইসলাম সোহাগকে লাঞ্চিত করেন। সোহাগ সদর সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখক মোস্তফা কামালের সহকারী বলে জানা যায়।
সংবাদ প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই রফিকুল ইসলাম সোহাগ তার ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো ” আমি রফিকুল ইসলাম সোহাগ, পিতামৃত- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার আমার নাম ব্যবহার করে অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দৈনিক সবুজ এ কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর জনাব জয়নাল আবেদীন কে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নিউজে প্রকাশিত কোন ঘটনা আমার সাথে ঘটে নাই।”
তার ফেসবুক পোস্ট এর স্ক্রীনশট দেয়া হল-
রফিকুল ইসলাম সোহাগের সাথে কথা বলে জানা যায় তাকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি জানান, সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীনের সাথে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশিং এন্ড ইন্টিলিজেন্স ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন এ ব্যাপারে জানান, সরকারি কর্মচারীকে কর্ম সম্পাদনে বাধা প্রদানসহ কর্তব্য প্রদানে বাধা দান, আক্রমণ ও বল প্রয়োগ এবং হুমকি প্রদানের অপরাধে কতিপয় দলিল লিখকদের বিরুদ্ধে সাব-রেজিস্ট্রিার কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার এজহারনামীয় আসামীগণ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করিতেছে এমন তথ্য প্রাপ্তির পর আমি অফিসার ইনচার্জকে অবগত করি এবং তার নির্দেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাই। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ব্যানার কে টাঙ্গিয়েছে তা জানতে চাই। এমতাবস্থায় রফিকুল ইসলাম সোহাগ আমার কাছে এসে আমার পরিচয় জানতে চায়, আমি সোহাগকে আমার পরিচয় দেই এবং তার পরিচয়, নাম, ঠিকানা জানতে চাই। এখানে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রফিকুল ইসলাম সোহাগ আমার কাছে আসে এবং এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে স্বীকার করে।