সম্পত্তির লো’ভে অ’ন্ধ বাবাকে পি’টিয়ে র’ক্তাক্ত
বৃদ্ধ বাবা আফতাব উদ্দিন (৯০)। গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া বড় বাড়ী। দীর্ঘ ৪২ বছর সিনিয়র শিক্ষ’ক হিসা’বে কর্মর’ত ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলার কচুয়া সিনিয়র ফাজি’ল মাদ্রাসায়। ৯ছে’লের মধ্যে ৪ ছেলে ঢাকা ও প্রবা’সে। সবচেয়ে ছোট ছেলের বড় জন বদরো’দ্দৌজা (৩২)। রামগ’ঞ্জ পাটবাজার দারুস সালাম জামে মস’জিদের ইমাম’তি করেন। বাসা নিয়ে থাকেন রামগঞ্জ কাটবাজার সড়কের একটি ভবনে। বর্তমানে তিনি অ’ন্ধ অবস্থায় ঘরে শয্যাশা’য়ী।
বৃদ্ধ বাবা আফতাব উদ্দিন বলেন, ফজরের নামাজের পর বাড়ির স’ম্পত্তি তার নামে লিখে দেয়ার কথা বলে আমার ছেলে বদরো’দ্দৌজা। এ বিষয়ে আমি অন্য ছেলেদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলার সাথে সাথে আমার হাতের লাঠি দিয়ে আমাকে মা’র’ধর করে। এ সময় অনেক অ’নুনয় বিনয় করেও র’ক্ষা পাইনি। আজ আমি ও আমার স্ত্রী সাহরী না করেই রোজা রেখেছি। মারধরের সময় আশেপাশের বাসার লোকজন এগিয়ে আসলে আমার ছেলে বদরো’দ্দৌজা তাদেরকেও মা’রা জন্য তে’ড়ে যায়।
মা’রধরের পর আ’হত আফতাব উদ্দিনকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বদরোদ্দৌজা মসজিদ কমিটির লোকজন তার নি’কটাত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে স্থানী’য়দের ভয় দেখায়। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রামগঞ্জ পাটবাজার দারুস সালাম জামে মসজি’দ কমি’টির সভাপতি শহিদ উল্যা ও তার ছেলে বাবলু ইমাম বদরোদ্দৌজাকে মানসিক বিকারগ্রস্থ বলছেন। কিন্তু কেন একজন মান’সিক বিকা’গ্রস্থ ব্যক্তিকে মসজিদের ইমাম নিয়োগ করা হলো- এমন প্র’শ্নের জবাবে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার হারুন অর-রশিদ ওরফে চাঁ’দা হারুন বলেন, আমরা আগে বুঝতে পারিনি। আমরা রেজুলেশন করেছি তাকে ইমাম’তি থেকে বাদ দেয়া হবে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানায়, বদরোদ্দৌজা গত কয়েকবছরে চারটি বিয়ে করেছেন। স্ত্রী’দের মা’রধর করায় সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি রামগঞ্জ কাঠ বাজারের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
এ ব্যপারে ইমা’ম বদরোদ্দৌজা জানান, আমার হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিচ্ছে না তারা (বাবা-মা)। আমি তাদেরকে খাও’য়াচ্ছি। আমার মা রা’ন্নায় তেল বেশি খরছ করে।
রামগঞ্জ থানার অফি’সার ইনচা’র্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আগে বৃদ্ধ মানুষটিকে হস’পিটা’লে ভ’র্তি করা দরকার, চি’কিৎসা দরকার। তারপরে অভি’যোগ পেলে তার বি’রুদ্ধে আ’ইনগত ব্যব’স্থা গ্রহণ করা হবে।
somoyerkonthosor